আব্দুর রহিম প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [ ﷽ ]
৪:৩০ এম, বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ়, ১৪৩২, ২১ জিলহজ, ১৪৪৬
৪:৩০ এম, বুধবার,
১৮ জুন, ২০২৫,
৪ আষাঢ়, ১৪৩২,
২১ জিলহজ, ১৪৪৬
শিরোনামঃ
সংবাদকর্মী আবশ্যকঃ
জরুরী সংবাদকর্মী আবশ্যক- জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পেপার (চেতনা ২৪ নিউজ) এ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাস পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। Gmail 1:- chetona24news@gmail.com আগ্রহী প্রার্থীগণ মেইলের মাধ্যমে সিভি জমা দিন। জরুরী সংবাদকর্মী আবশ্যক- জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পেপার (চেতনা ২৪ নিউজ) এ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাস পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। Gmail 2:- add.chetona24news@gmail.com আগ্রহী প্রার্থীগণ মেইলের মাধ্যমে সিভি জমা দিন। জরুরী সংবাদকর্মী আবশ্যক- জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পেপার (চেতনা ২৪ নিউজ) এ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাস পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। Gmail 3:- c24n.news@gmail.com আগ্রহী প্রার্থীগণ মেইলের মাধ্যমে সিভি জমা দিন।

ফুলপুর উপজেলার আবুল কালাম দোহাদারের ছেলের কোটি টাকার প্রতারণা

আব্দুর রহিম প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা

নিরব হাসান ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || আপডেটঃ ১২:৩৯ এম, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

ফুলপুর উপজেলার রূপসি ইউনিয়নের ঘুমগাঁও গ্রামের আবুল কালাম দোহাদার ও সখিনা বেগমের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা শহরের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার জাল পেতে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা ও নিঃস্ব করেছে অনেক পরিবারকে।

আব্দুর রহিম দীর্ঘ দিন গামেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সুবাদে গার্মেন্টসে কাজ করা লোকদের সহজ সরল ও দূর্বল জায়গা গুলো বুঝতে পারতেন খুব সহজেই । সাধারণ মানুষের দুর্বলতা কে পুঁজি করে আব্দুর রহিম গড়ে তুলেছেন টাকার পাহাড়।

প্রতারক আব্দুর রহিম নামে মাএ অফিস খুলে ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে ভূয়া ভিসা প্রসেসিং করে দিত এসব সহজ সরল মানুষ গুলোকে। আব্দুর রহিম, উজ্জ্বল সহ আরও কয়েকজন দিয়ে পরিচালনা করতো তার নামমাত্র অফিস ।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তার এলাকার কয়েকজন বলেন তার বাবা দোহাদারের কাজ করত এই সময় আব্দুর রহিমের বাবা ৪ টি মার্ডারে অভিযুক্ত ছিলেন ও তার মা মানুষের বাসায় কাজ করতো ।লোকমুখে শোনা যায় তার মা কিছুদিন মানুষের বাসায় ধান বানার কাজ ও করেছেন। অভাবের সংসারে ছোট বেলা থেকেই বেপরোয়া জীবন যাপন করত এই আব্দুর রহিম। আব্দুর রহিম ছোট বেলা থেকেই বাটপার প্রকৃতির ছিলো ।

সে লেখাপড়ায় প্রাথমিক গন্ডি পার করলেও ঢাকা গিয়ে গার্মেন্টসে কাজ শুরু করে। গার্মেন্টসে কিছুদিন কাজ করার পর খুলে বসে ভূয়া এজেন্সির ব্যবসা। চতুর আব্দুর রহিম গড়ে তুলে কয়েকজনকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেটও। তার এই সিন্ডিকেট এ উজ্জল ম্যানেজার ও কোষাধ্যক্ষ ছিল সে টাকার লেনদেন করত এবং মঞ্জিলা আক্তার আইরিন অফিসে বসে অফিস চালাতো লোকজন আসলে তাদের সাথে কথাবার্তা বলতো কথাবার্তা বলে ফরম পূরণ করাতো মঞ্জিলা আক্তার। আইরিন তার রুপের যাদু দেখিয়ে বস করতেন বিভিন্ন মানুষ কে। বিভিন্ন কলা কৌশলে মানুষকে একেবারে নিঃস্ব করে ফেলছেন এই চক্রটি ।

 

তাদের এজেন্সির নাম জাহান ট্যুার এন্ড ট্রাভেলস ।এই এজেন্সির মাধ্যমেই তাদের প্রতারণার কাজ চলতো  প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ আব্দুর রহিম ওরফে (দেলোয়ার হোসেন -ভুয়া নাম), তার সাথে আরো কাজ করে উজ্জ্বল সরকার ওরফে প্রিন্স(ভুয়া নাম),এবং মঞ্জিলা আক্তার (আইরিন-ভুয়া নাম) । তারা তাদের এনআইডি কার্ড সহ আরো অন্যান্য তথ্য ডুপ্লিকেট করে লোকজনকে দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত।

প্রতারক এই চক্রটি দেশের বাহিরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৩৭ জন লোকের কাছ থেকে 2 লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করে। এবং পরবর্তীতে সে নকল ভিসা ও নকল টিকিট প্রদান করে থাকে।

সে ভুক্তভোগীদের জানায় ভিসা মেনুয়্যালভাবে ইমেইল করে আনা হয় অনলাইনে পাওয়া যাবে না কিন্তু টিকিট পাওয়া যাবে। মূলত দেলোয়ার লোকজনকে যে টিকিট দেয় সে টিকিট গুলো নকল ছিলো যা অনলাইনে ছিলোই না। পরবর্তীতে তাকে এটি জানানোর পর সে ২৪ ঘন্টার মেয়াদে অনলাইন টিকিট বুকিং করে তাদেরকে দেয়। তা ভুক্তভোগীরা বুঝতে পেরে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু সে নানাভাবে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করে যেমনঃ- ফ্লাইটে ওঠার ২৪ ঘন্টা পূর্বে আবার অনলাইনে চলে আসবে।

প্রতারক আব্দুর রহিম সহ এই সিন্ডিকেটের সকল সদস্যদের স্বচ্ছ বিচার হওয়ার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা ও তাদের স্বজনরা।

মন্তব্য করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেতনা 24 নিউজ

আপলোডকারীর সব সংবাদ
শিরোনামঃ