শেরপুর: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ (চেতনা ২৪ নিউজ) পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে শেরপুর সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভিতরে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছে তার স্বামী।
জানা যায়, নিহত গৃহবধূর নাম শান্তা (২৫)। আর তার স্বামীর নাম নওশাদ আলম ওরফে মুরাদ। সে শেরপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানির মেডিক্যাল প্রতিনিধি হিসেবে চাকুরি করে। শেরপুর শহরের পুরাতন গরুহাটি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। নিহত শান্তার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম জুয়েল মিয়া।
পুলিশ আরো জানায়, বিকেলে গৃহবধূ শান্তাকে তার স্বামী নওশাদ আলম মুরাদ রিকশায় করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরে জুরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর শান্তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঠিক সে সময়ই স্বামী নওশাদ আলম মুরাদ স্ত্রীর মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে আসে।
পরে মৃতদেহ সম্পর্কে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আর এম ও) হুমায়ুন আহমেদ নুর জানান,
নিহত গৃহবধূ শান্তার গলায় ফাঁসি দেওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সর্বশেষ এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস আই, তারেক হাসান জানান, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে লাশের অবস্থা দেখে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করি। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা তদন্ত শেষে বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন