“খোলা চিঠি ”
চেতনা 24 নিউজ: আজ ১৭ই নভেম্বর২০২৪ ইং(রবিবার) ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এক নতুন অন্তবর্তী সরকারের ১০০দিন। অধ্যাপক ড.ইউনুস সাহের নেতৃত্বের ১০০ দিনের পূর্তি আজ।
৫ই জুলাই বিপ্লবের ফলে সৃষ্টি অন্তর্ভুক্তি সরকারের উপর ছাত্র ও জনতার এক অসামান্য বিশ্বাস। বিগত সরকারের দমন পিরনের এক প্রতিবাদী কন্ঠের ফসল আজকের এই ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বিগত আওয়ামীলিগ সরকার উৎখাতের ফলে মানুষের মাঝে এক নতুন স্বপ্নদ্রষ্টা লালিত হয়। দীর্ঘদিন মানুষের তার মত প্রকাশের অধিকার, জনগণের ভোটের আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠা, একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে জনগণের অগাধ বিশ্বাস এ প্রতিফলন ঘটাবে এটাই প্রত্যাশা ।
অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে মুক্তি ,শেয়ার বাজার চাঙ্গা করা,ব্যাংকীন খাতে দেউলিয়াপনা থেকে রক্ষা করা ইত্যাদি।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যকে মানুষের নাগালের মাঝে রাখা। সিন্ডিকেট ভেঙে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা। দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনের জন্য একটা আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করাই আমাদের প্রত্যাশা।
ইতিমধ্যেই সরকার বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যার দ্বারা সরকার তার কাঙ্ক্ষিত অর্জনের দিকে দাবিত হবে বলে বিশ্বাস ।
বিশেষ করে একটি সুস্থ,অংশগ্রহণ, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের বিশ্বাস অর্জন করা । বিভিন্ন সংস্কারের ফলে একটি টেকশই ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে এটাই কাম্য।
এ সরকারের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য
হোক জনবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জনগনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে স্বচ্ছতা ওর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
আইনের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে। আইন হবে জনগণের মঙ্গলের জন্য। প্রশাসন হবে জনবান্ধব ও জনগনের।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে জনগণ এর ভার বয়তে হিমশিম খাচ্ছে । বিভিন্ন কল কারখানা বন্ধের ফলে প্রতিনিয়ত বেকার বাড়ছে। বেকারত্বের কারনে দেশে শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট হচ্ছে।দেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বাঞ্চনীয় । বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়াতে হবে।
অবৈধ অর্থ পাচারের বন্ধ করতে হবে।
বিদেশে পাচারকৃত অবৈধ টাকা ফেরতে তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে আর আধুনিক ও সৃজনশীল করতে হবে। শিক্ষার মান যুগোপযোগী করতে না পারলে সংস্কার অর্থবহ হবে । কারিগরি শিক্ষার দিকে অধিকতর গুরুত্ব প্রধান করতে হবে। একটা প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়া লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। উন্নত এবং প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই শক্তিশালী এবং মেধাবী রাষ্ট্র গঠন করতে হলে মেধা পাচার বন্ধ করা সরকারের জন্য একান্ত কর্তব্য।
পরিশেষে জনগনের প্রত্যাশা পুরণে এই অন্তর্ভুক্তির সরকার হোক আশার বাতিঘর।
মতিউর রহমান
লেখক ও বিশ্লেষক।
১৭ই নভেম্বর ২০২৪।
মন্তব্য করুন