আজগরিয়া মেহেরুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার: বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ইং (চেতনা ২৪ নিউজ)   উপকূলীয় এলাকা পেকুয়া উপজেলাধীন রাজাখালী, সুন্দরী পাড়ার এক শিক্ষানুরাগী ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মরহুম আলহাজ্ব মেহের আলী মাতবর এর একক প্রচেষ্ঠায় ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন এক দ্বীনি বাগান আজগরিয়া মেহেরুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।

এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এলাকায় আমূল পরিবর্তন আসে।দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটিতে পাশ্ববর্তী থানা দ্বীপাঞ্চল কুতুবদিয়া, পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন মগনামা, ছনুয়া ও আর ও দূর- দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন।

প্রতিষ্ঠাতার ত্যাগ,ভালোবাসা ও শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। এমনকি দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছর একনাগাড়ে পেকুয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

শতভাগ পাশের হারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক বৈরিতা ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দিন দিন প্রতিষ্ঠানটি তার স্বকীয়তা হারাতে শুরু করে। পেকুয়া উপজেলার মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে শিক্ষার পরিবেশ, ব্যবস্হাপকীয় কাঠামো ও পাঠদানের চর্চা ভঙ্গুর হতে দেখা দেয়।

অথচ এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে মাদ্রাসা, স্কুল,কলেজ,বিভিন্ন সামরিক বাহিনী,ব্যাংক,সরকারি অফিস-আদালত ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখছেন।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রিয় প্রতিষ্ঠানের ভঙ্গুর অবস্থা দেখে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সকল সদস্যদের রয়েছে অদম্য ইচ্ছে শক্তি। তাদের সবার একই কথা তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে তার স্বকীয়তায় ফিরাতে হবে।

প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ গড়ে উঠেছে এক্স,জেন জি ও আলফা জেনারেশন এই তিন জেনারেশন এর সমন্বয়ে, তাই তাদের ইচ্ছে শক্তি হার না মানা সবাই সবার জায়গা থেকে অর্থ, মেধা ও শ্রম দিয়ে অবদান রাখছে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের জন্য।

ইতিমধ্যে কিছু দৃশ্যমান সংস্কার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সব সদস্যদের স্লোগান দেশ সংস্কার হচ্ছে, হবে পাশাপাশি আবেগভরা প্রিয় প্রতিষ্ঠানের সবার প্রচেষ্ঠায় সংস্কার চাই।

প্রচেষ্ঠার অংশবিশেষ হিসেবে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ,অভিভাবকবৃন্দ,স্হানীয় ব্যক্তিবর্গও প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।

উপস্থিত সবার আলোচনা ও মতবিনিময়ে উঠে এসেছে সবাই উক্ত প্রতিষ্ঠানকে আগের গৌরবজনক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে চাই। এভাবে পারস্পরিক মতবিনিময় ও কিছু প্রাথমিক পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়।