ময়মনসিংহ: সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ইং (চেতনা ২৪ নিউজ) আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা ১২ জানুয়ারি রবিবার বিকালে অতর্কিত হামলার ঘটনায় সোমবার ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আকরাম হোসেন অপু ; ইতিহাস বিভাগ (মাস্টার্স)
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি আনন্দমোহন কলেজ হোস্টেলে অবস্থানকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আজকের এই বার্তা প্রদান করছি। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কলেজ হোস্টেলে অবস্থান করছি। ২০২৫ সালের সীট নবায়ণ সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতায় আজ আমরা আক্রান্তের স্বীকার হয়ে হলে অবস্থান করছি। এমতাবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষের হল বন্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত নোটিশ আমরা মানি না।
কারণ:
১. ২০২১-২২ সেশন (২য় বর্ষ) এর ফাইনাল পরীক্ষা চলমান, এমতাবস্থায় হল কর্তৃপক্ষের এই অযৌক্তিক দাবি মানি না।
২. আগামী ২৭ জানুয়ারী থেকে মাষ্টার্স ২০২১-২২ সেশন এর পরীক্ষা শুরু হবে। এ অবস্থায় এ দাবি মানা সম্ভব নয়।
৩. আমরা আশঙ্কা করছি যে, হল বন্ধ থাকা অবস্থায় আজকে হামলাকারীরা হল দখল করবে, তাই আমরা হল ছাড়বো না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পেশ করছি
দাবিসমূহঃ
১। হলে অবস্থানকারী ছাত্র ও শিক্ষকদের উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীদের পরিচয় প্রকাশ ও আগামী কালের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।
২। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. আমরা কোন অবস্থাতেই হল ছাড়বো না। এ অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. নতুন সিট নবায়নে আমাদের বর্তমান বৈধ সিটধারীদের সিট স্ব স্ব অবস্থানে নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সিট নবায়নের ক্ষেত্রে ফি কমিয়ে পাঁচহাজার পাঁচশত টাকা (৫,৫০০/- টাকা) করতে হবে।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আমরা যারা বর্তমানে হলে অবস্থান করছি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়ে আজকের বার্তা শেষ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় বিভিন্ন হলের একাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
হলের শিক্ষার্থী সোহেল চেতনা 24 নিউজ কে জানায়, আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বর্তমানে মোট ৩ টি ছাত্রাবাস চালু রয়েছে।
১/ কবি জসিম উদ্দিন হল।
২/জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম হল।
৩/ ভাষা সৈনিক আহমেদ সালেক হল (তরুন হল)।
আরও ১টি ছাত্রাবাস (হিন্দু ছাত্রদের) নির্মানাধীন রয়েছে।
ছাত্রাবাসের স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ড. শহিদুল্লাহ।
হল সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন ,
শাহজাহান সাজু শিক্ষক(অর্থনীতি বিভাগ)।
মিজানুর রহমান মিজান শিক্ষক(রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ)।
মন্তব্য করুন