ময়মনসিংহ: সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ইং (চেতনা ২৪ নিউজ) আনন্দ মোহন কলেজে শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের আনন্দ মোহন কলেজ শাখাকে নিয়ে অব্যাহত অপপ্রচার ও তথ্যসন্ত্রাসের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আনন্দমোহন কলেজ শাখা ছাত্রদল।
সংবাদ সম্মেলনে আনন্দমোহন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যরা বলেন, আমরা লক্ষ করচ্ছি গত প্রায় ১ সপ্তাহের অধিক সময় যাবত হলের সিট নবায়নকে কেন্দ্র করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো হলে সিট নবায়নের ক্ষেত্রে যৌক্তক কিছু দাবি জানিয়েছিল।
আমাদের দাবিসমূহ ছিল:-
১. হলে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না।
২. অবৈধ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিতদের বের করতে হবে।
৩. হলে ৫ আগস্টের পর যারা অবৈধভাবে উঠেছে তাদের নবায়ন করা যাবে না।
৪. নবায়নের ফি ৬৫০০/- টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫০০/- টাকা করতে হবে।
আমরা আনন্দ মোহন কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী গতকাল ১২ জানুয়ারী, ২০২৫ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্র হলের স্টিয়ারিং কমিটির আহবানে ক্যাম্পাসের সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত মিটিং চলছিল উক্ত মিটিং চলাকালীন সময়ে কলেজ ছাত্র হল থেকে কতিপয় অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিটধারী শিক্ষার্থী, নিষিদ্ধ ও গুপ্ত সংগঠনের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব এসে উক্ত মিটিংয়ে স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও হলসুপারদের সাথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হট্টগোল শুরু করে।
মিটিংরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তখন সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেয়, কিন্তু ধৈর্যের সকল মাত্রা অতিক্রম করে যখন নিষিদ্ধ ও গুপ্ত সংগঠনের নেতৃত্বে স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান, বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শহীদুল্লাহ্ স্যারকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়, তখন মিটিংরত শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করে।
আর এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিটিং শেষে শিক্ষার্থীরা প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে বিষয়টি অবহিত করতে গেলে সেখানে তাদের উপর অতর্কিত হামলা হয়, অধ্যক্ষের কক্ষে জুতা নিক্ষেপ করার মত ধৃষ্টতা দেখায় যেগুলোর সুস্পষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে ।তারপর তাদের অতর্কিত হামলার প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদল ও অন্যান্য ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদল ও অন্যান্য ক্রিয়াশীল সংগঠনের সাথে ছাত্রহলের অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিটধারী শিক্ষার্থী, নিষিদ্ধ ও গুপ্ত সংগঠনের অনুসারীদের সাথে প্রায় ২ ঘন্টা ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিতে আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদল তাদের পাশে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রহলে অবৈধ সিটদখলকারী, নিষিদ্ধ ও গুপ্ত সংগঠনের অনুসারীরা আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদলকে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার ও তথ্যসন্ত্রাসের শিকারে পরিণত করা হয়।
আমরা এ বিষয়ে সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে সঠিক, নিরপেক্ষ ও যথার্থ সংবাদ পরিবেশন করার অনুরোধ জানাই। শিক্ষক লান্চনার প্রতিবাদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রদলকে হেয় প্রতিপন্ন ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে হলুদ সাংবাদিকতার শিকারে পরিণত করা হয়েছে।
আমরা এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ হলুদ মিডিয়ার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি এবং আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদলকে জড়িয়ে প্রকাশিত অসত্য সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সম্পূর্ণ পরিস্থিতি দ্রুততম সময়ে সামাল দেয়ায় ধন্যবাদ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ও পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব ১৪, কলেজ প্রশাসন ও সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীকে। আমরা দেখছি, প্রশাসনের সকাল ৮ টার মধ্যে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি দ্রুততম সময়ে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে ও অছাত্রদের স্থায়ীভাবে বের করতে হবে।
আহতরা হলেন:-শিমুল, মো:জুবায়েদ মিয়া, বিজয়।
মন্তব্য করুন