হাসপাতালের স্টোরে কিসের এত মধু, আঃ হালিম বারবার কেনো একই কর্মস্থলে ফিরে আসছেন

বারবার বদলি হওয়ার পরও আবারো তদবির করে একই কর্মস্থলে ফিরে আসার রেকর্ড করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওয়ামী পন্থী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম।

একই কর্মস্থল হাসপাতালের স্টোরে বারবার ফিরে আসায় হাসপাতালের কর্মচারীদের মনে প্রশ্ন কিসের এত মধু এখানে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য মতে, স্টোরে কর্মরত ফার্মাসিস্ট আব্দুল হালিম জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী দলীয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের কার্যকরী কমিটির পদধারী নেতা হওয়ায় তাকে দুইবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি শক্ত তদবিরের মাধ্যমে দুই বারই বদলি বাতিল করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই কর্মস্থলে ফিরে আসেন।

এ নিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী পন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর আব্দুল হালিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদলি করে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

নান্দাইলে আড়াই মাস চাকরি করার পর তদবির করে আবারো চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়ে ফিরে আসেন তিনি । এখানে এক মাস চাকরি করার পর আবারো তাকে চলতি বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করে পাঠানো হয়।

আবারও একমাস চাকরি করার পর চলতি বছরেই ২০ মার্চ তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়ে ফিরে আসেন।

আওয়ামী পন্থী আব্দুল হালিম বারবার এভাবে বদলি হওয়া, আবারও তদবিরের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিরে আসায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রয়ে নানা প্রশ্ন।

হাসপাতালের কর্মচারীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফার্মাসিস্ট আব্দুল হালিম বঙ্গবন্ধু টেকনোলজিস্ট পরিষদের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছেন। এখানে তিনি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোরে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে স্টোরের মধ্যে বিভিন্ন টেন্ডার কার্যক্রম রয়েছে। এখানে ঠিকাদারদের সাথে টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারও রয়েছে। তিনি হাসপাতালের স্টোরের টেন্ডার সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য। এ কারণেই এখানে বারবার তিনি তদবিরের মাধ্যমে বন্দী হয়ে ফিরে আসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কর্মচারীরা আরো জানান, এর আগে আব্দুল হালিমকে স্টোরের কয়েক লক্ষ টাকার ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দায়ে স্টোর থেকে সরিয়ে  টিকিট কাউন্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে বেশিদিন অবস্থান না করে ক্ষমতা দেখিয়ে আবারো স্টোরে চলে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে বারবার আব্দুল হালিমের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।