ময়মনসিংহে ভাতিজিকে অপহরণ ও ধর্ষণ, সেই চাচাসহ গ্রেপ্তার ২

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচা ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় (২৭ জুন) শুক্রবার রাতে ভোক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচা মো. হুমায়ূন(৩০) ও তার সহযোগী মো. কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার দুপুরে আসামিদে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত চাচা হুমায়ূন উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের কড়ইকান্দি গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ভোক্তভোগী ঐ শিক্ষর্থীকে চাচা হুমায়ূন ও কাউসার জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান ।

ইজিবাইকটি মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারে পৌঁছাতেই মেয়েটির চাচা হুমায়ূন একই ইজিবাইকে ওঠেন। পরে ইজিবাইকযোগে ভাতিজিকে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর চৌরাস্তা বাজারের (চমকিয়া বাজার) পাশে স্থানীয় নূরুল আলমের দোকানঘরে ঢুকিয়ে চাচা কাউসার ও হুমায়ূন ভাতিজিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিকেলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর একইদিন অজ্ঞাত একটি ইজিবাইকে তুলে ওই ভাতিজিকে (শিক্ষার্থী) বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার রাতে লিখিত অভিযাগ পাওয়ার পরপরই তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচা হুমায়ূন ও কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।