গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আটক সাংবাদিক ফারজানা রুপা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের দাফন কাফনে অংশ নেন এবং শেষবারের মতো মায়ের লাশ দেখেন।
এ সময় ফারজানা রুপার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমদ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে একইসঙ্গে দাফন-কাফনে অংশ নেন এবং শেষবারের মতো শাশুড়ির লাশ দেখেন।
পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিক দম্পতিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়।
বুধবার বিকেলে মুক্তি পেয়ে এই সাংবাদিক দম্পতি পুলিশ পাহারায় ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া দাঁড়িয়াকান্দা গ্রামের বাড়িতে এসে মায়ের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেন।
মায়ের দাফন কাফন শেষে বুধবার রাতেই তাদেরকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাংবাদিক ফারজানা রুপার মা ও শাকিল আহমদের শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর সেহরা ধোপাখলা এলাকার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক পুত্র ও পাঁচ কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার বাদ আছর ঘাগড়া দাড়িয়াকান্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমদের জন্য অপেক্ষা করা হয়।
বুধবার রাত ৮.৩০ মিনিটে ফারজানার ও তার স্বামী শাকিল আহমেদকে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে আসা হয় ফারজানার উপর মা ও শাকিল আহমেদের শাশুড়িকে দেখানোর জন্য । সাংবাদিক দম্পতি মায়ের লাশ দেখার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সাংবাদিক দম্পতি ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে এসময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় ।
সাংবাদিক ফারজানা রূপার স্বামী শাকিল আহমেদ তার শাশুড়ির কবরে মাটি দেন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন ।
দোয়া ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও তার স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে পুলিশ কভার ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে আসে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা ।
মন্তব্য করুন