অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার দাবি জানিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেছেন, ডক্টর ইউনুস সাহেব এদেশের একজন ভালো মানুষ। আমরা তাকে সহযোগীতা করছি।
গত ১৭ বছরের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করুন। আমরা আপনাদের সব ধরনের সহযোগীতা করব। নির্বাচনের দিন দেশের জনগণ যদি বিএনপিকে পছন্দ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেয়, তাহলে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মাইজবাড়ী নতুন বাজার এলাকায় ৯ নম্বর খাগডহর ইউনিয়ন তাঁতীদলের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির সমালোচনা করে ওয়াহাব আকন্দ আরও বলেন, পত্রিকায় খবর দেখলাম গত ৬ মাসে সুইচ ব্যাংকে ৮ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। কথা হলো এখন তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নাই, বিএনপিও ক্ষমতায় নাই।
এখন যারা ক্ষমতায় আছেন- আপনারা এত অল্প সময়ে এই কাজটি কীভাবে করতে পারলেন ? দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য একেক দিন একেক কথা বলছেন। আহবান জানাই- সরকারি গাড়ী ছাড়–ন, দল গঠন করেছে নাম রেখেছেন এনসিপি। ইংরেজিতে বিশ্লেষন করতে নাম হবে- ন্যাশনাল ক্রাইম পার্টি। এটির প্রমাণ ৮ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা সুইচ ব্যাংকে জমা।
এ সময় বিএনপির লড়াই সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, বিগত ১৭ বছর ভোটাধিকারের জন্য লড়াই, সংগ্রাম করেছে বিএনপি। এই আন্দোলন শেষ পর্যায়ে এসে এক দফার আন্দোলনে পরিনত হয়েছে। হঠাৎ করে একদিনে হাসিনার পতন হয়নি। অনেকেই বলেন- ছাত্রদের কথা। আমিও স্বীকার করছি- ছাত্ররা কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে। বিএনপি সেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্বতা পোষন করে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।
আর এ কারণেই চোরের রাণী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। মনে রাখতে হবে- গত ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়ীতে থাকতে পারেনি। পালিয়ে বেড়িয়েছে বছরের পর বছর। মামলা-হামলায় জেল খেটে বাবা, মা ও স্বজনদের জানাযায় অংশ নিতে পারেনি। ঈদের নামাজ বাড়ীতে থেকে পড়তে পারেনি। বাংলাদেশে এমন হাজার, লক্ষ প্রমাণ রয়েছে।
কিন্তু দিন বদলের পালায় এখন বিগত সময়ের সুবিধাভোগীরা বিএনপির সামনে কাতারে আসার চেষ্টা করছে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে হামলা-মামলায় নির্যাতিতদের আগে মূল্যায়ন করা হবে। পরে অন্যদের বিবেচনা।
কর্মী সমাবেশে কোতোয়ালি থানা তাঁতীদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক রাজন আহমেদ ও সিনিয়র সহসভাপতি আল আমিন মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা তাঁতীদলের সভাপতি ডা: রুহুল আমিন। বিশেষ বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা তাঁতীদলের সাধারন সম্পাদক মোক্তার হোসেন মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য আব্দুর রব আকন্দ রতন, দক্ষিণ জেলা তাঁতীদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রউফ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গোবিন্দ রায় প্রমূখ।
মন্তব্য করুন