প্রকাশের সময়: ৯:৪৮ পিএম । বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ প্রিন্টের তারিখঃ ৬:৩১ এম । বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

দুদকের মামলায় জুবাইদার সঙ্গে তারেকও খালাস

চেতনা ২৪ নিউজ ডেস্ক।।

‎সাজার রায় বাতিল, দুদকের মামলায় জুবাইদার সঙ্গে তারেকও খালাস। ‎জজ আদালত এই মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

‎দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তার স্বামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাদের খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।

‎

‎জুবাইদার করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।

‎

‎জজ আদালতএ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

‎

‎

‎আদালত বলেছে, আইন অনুযায়ী জুবাইদা রহমানকে নোটিস না দিয়েই এ মামলা দায়ের করেছিল দুদক, যা ‘আইনসম্মত হয়নি’।

‎

‎অভিযোগ দায়ের থেকে এ মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বলেছে হাই কোর্ট। সে কারণে আপিল না করলেও তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

‎

‎আওয়ামী লীগ আমলে যেসব মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় এসেছিল, এর মধ্য দিয়ে তার সবগুলোতেই খালাস পেলেন তিনি।

‎

‎২০০৮ সালে কারামুক্তির পর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জায়মা রহমানও তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সময়ে তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি।

‎

‎গতবছর ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান এবং তার মা খালেদা জিয়াকে কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই দেয় আদালত। গত বছরের ২ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জুবাইদার দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

‎

‎সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, “সাজা স্থগিতের আবেদনে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিতের ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

‎

‎১৭ বছর পর গত ৬ মে শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা। পরে তার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আপিলের আবেদন করেন।

‎

‎মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও রায় পাঠের মধ্য দিয়ে গত ২২ মে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিতে জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তারেক রহমানের খালাস চেয়ে আর্জি জানান তাদের আইনজীবীরা।

‎

‎জুবাইদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

‎

‎তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিল দুদক।

‎

‎মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।

‎

‎পরে একই বছর তারেক ও জুবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

‎

‎পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ২ অগাস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়।

‎

‎জুবাইদার তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল- শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে তাকে জামিন দেয় হাই কোর্ট। তার আগের দিন ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনার দরখাস্ত হাই কোর্ট মঞ্জুরের পর ওই আপিল করেছিলেন তারেকপত্নী।

‎

‎

‎

‎

‎সূত্র:- নি/২৪/বা/স/স

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- ফরিদুজ্জামান শান্ত, মোবাইলঃ- +৮৮০১৮৫২-৩২৬২৪০ বার্তা কক্ষঃ- i) chetona24news@gmail.com  ii) add.chetona24news@gmail.com  iii) c24n.news@gmail.com . কপিরাইট © চেতনা ২৪ নিউজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন